‘টিপ’ কবিতায় জন্ম-মৃত্যু যে কোন মুহূর্তে শরীরের সবখানে টিপ চায় কবি। আবার ‘দাগ কবিতায় প্রেম আসে জীবনভর নানা দাগ নিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি করে প্রেম আসে তার কবিতায় ‘নিমফুল’ হয়ে কিংবা কে জানে কবিই নিজেই হয়তো ‘নিমফুল’। সেই ‘নিমফুল’ প্রেম ও বিশুদ্ধতা অথবা তিক্ততার প্রতীক যদি হয় তবে তার কবিতায় বিড়ালও আসে বারবার ধ্রুপদী পথের বাধা হয়ে। কিন্ত এ সবের সরলীকরণ করা কঠিন। বরং প্রত্যেক পাঠকেরই সুযোগ আছে নিজস্ব ব্যাখার।
নিমফুল মুক্তি চায় কালো বিড়ালের হাত থেকে
‘নাগরিক জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না। আমার মতনই
নিরুপায় আর একজন, তার নাম ভালোবাসা।’ (মনবৃক্ষ)
প্রেমে পড়লে সবাই কবিতা লেখেন, কিন্তু কবি কখন প্রেমের কবিতা লেখেন? অপ্রেমে লেখেন, ঘৃণাতে লেখেন, প্রেম থেকে মুক্তির তরেও কি লেখেন? প্রেমের কবিতার সাথে দেখি মিলেমিশে থাকে অপ্রেম আর প্রেমহীনতা! সমাজ আর সময়টাই বৈরি। সাকিরা পারভীন তাই প্রেমের কবিতাতেও লেখেন -
‘মেলাতে পারি না মডেলিং আধুনিক উলঙ্গপনা
রংধনু থেকে রং চুরি যায় দেখে না ললনা
ফাঁসির কাষ্ঠে নয় অপরাধী ঝোলে পোস্টারে
হাইকোর্ট বসে থাকে চুপচাপ আমি একধারে।’ (পররাষ্ট্রনীতি)
প্রেমের এই উচ্চারণে সমাজ সচেতনতা ও দায়বোধ আছে, তবে প্রেমহীনতাও কম নেই।
‘টিপ’ কবিতায় জন্ম-মৃত্যু যে কোন মুহূর্তে শরীরের সবখানে টিপ চায় কবি। আবার ‘দাগ কবিতায় প্রেম আসে জীবনভর নানা দাগ নিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি করে প্রেম আসে তার কবিতায় ‘নিমফুল’ হয়ে কিংবা কে জানে কবিই নিজেই হয়তো ‘নিমফুল’। সেই ‘নিমফুল’ প্রেম ও বিশুদ্ধতা অথবা তিক্ততার প্রতীক যদি হয় তবে তার কবিতায় বিড়ালও আসে বারবার ধ্রুপদী পথের বাধা হয়ে। কিন্ত এ সবের সরলীকরণ করা কঠিন। বরং প্রত্যেক পাঠকেরই সুযোগ আছে নিজস্ব ব্যাখার। সেই বিবেচনায় সাকিরা পারভীনের কবিতা থেকে নিমফুল আর বিড়ালের কিছু কথা বলি, যদি পাঠক কোনো সূত্র ধরতে পারেন-
‘তোমার অদ্ভুত নিম
গাছ থেকে
দু-চারটে ফুল
আমাকেও দাও,
আমার কিম্ভুত সুখ
সারি ডাকে
আবডালে একা
শুনতে কি পাও?’ (সুখসারি)
‘এখন ফাল্গুন মাস। ফাল্গুনের দোষেই ঝরে পড়ছে সহস্র নিমফুল।’ (মনবৃক্ষ)
‘আজ রাতে নিমফুলের সমস্ত মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ছিল অনাকাক্সিক্ষত ভালোবাসার প্রস্তাব।’
... ‘তাহলে নিমফুলের একটা ইনডিসেন্ট প্রস্তাব তুমি গ্রহণ করো।’ (নিঃশ্বাসের মতন অবিশ্বাসী)
‘তবু তোমার অনুমতি ভিক্ষে চাইছে নিমফুল।’ (আর একটা টেলিফোন)
‘নির্ঘুম রাতের ঝঞ্ঝাট ঝামেলা নিমফুল তেতো, অবিশ্বাসী স্মৃতি-গন্ডগোল থেমে যেত।’ (ঘুম)
‘টিপ’ কবিতায় জন্ম-মৃত্যু যে কোন মুহূর্তে শরীরের সবখানে টিপ চায় কবি। আবার ‘দাগ কবিতায় প্রেম আসে জীবনভর নানা দাগ নিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি করে প্রেম আসে তার কবিতায় ‘নিমফুল’ হয়ে কিংবা কে জানে কবিই নিজেই হয়তো ‘নিমফুল’। সেই ‘নিমফুল’ প্রেম ও বিশুদ্ধতা অথবা তিক্ততার প্রতীক যদি হয় তবে তার কবিতায় বিড়ালও আসে বারবার ধ্রুপদী পথের বাধা হয়ে। কিন্ত এ সবের সরলীকরণ করা কঠিন। বরং প্রত্যেক পাঠকেরই সুযোগ আছে নিজস্ব ব্যাখার।
By সাকিরা পারভীন
Category: কবিতা
নিমফুল মুক্তি চায় কালো বিড়ালের হাত থেকে
‘নাগরিক জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না। আমার মতনই
নিরুপায় আর একজন, তার নাম ভালোবাসা।’ (মনবৃক্ষ)
প্রেমে পড়লে সবাই কবিতা লেখেন, কিন্তু কবি কখন প্রেমের কবিতা লেখেন? অপ্রেমে লেখেন, ঘৃণাতে লেখেন, প্রেম থেকে মুক্তির তরেও কি লেখেন? প্রেমের কবিতার সাথে দেখি মিলেমিশে থাকে অপ্রেম আর প্রেমহীনতা! সমাজ আর সময়টাই বৈরি। সাকিরা পারভীন তাই প্রেমের কবিতাতেও লেখেন -
‘মেলাতে পারি না মডেলিং আধুনিক উলঙ্গপনা
রংধনু থেকে রং চুরি যায় দেখে না ললনা
ফাঁসির কাষ্ঠে নয় অপরাধী ঝোলে পোস্টারে
হাইকোর্ট বসে থাকে চুপচাপ আমি একধারে।’ (পররাষ্ট্রনীতি)
প্রেমের এই উচ্চারণে সমাজ সচেতনতা ও দায়বোধ আছে, তবে প্রেমহীনতাও কম নেই।
‘টিপ’ কবিতায় জন্ম-মৃত্যু যে কোন মুহূর্তে শরীরের সবখানে টিপ চায় কবি। আবার ‘দাগ কবিতায় প্রেম আসে জীবনভর নানা দাগ নিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি করে প্রেম আসে তার কবিতায় ‘নিমফুল’ হয়ে কিংবা কে জানে কবিই নিজেই হয়তো ‘নিমফুল’। সেই ‘নিমফুল’ প্রেম ও বিশুদ্ধতা অথবা তিক্ততার প্রতীক যদি হয় তবে তার কবিতায় বিড়ালও আসে বারবার ধ্রুপদী পথের বাধা হয়ে। কিন্ত এ সবের সরলীকরণ করা কঠিন। বরং প্রত্যেক পাঠকেরই সুযোগ আছে নিজস্ব ব্যাখার। সেই বিবেচনায় সাকিরা পারভীনের কবিতা থেকে নিমফুল আর বিড়ালের কিছু কথা বলি, যদি পাঠক কোনো সূত্র ধরতে পারেন-
‘তোমার অদ্ভুত নিম
গাছ থেকে
দু-চারটে ফুল
আমাকেও দাও,
আমার কিম্ভুত সুখ
সারি ডাকে
আবডালে একা
শুনতে কি পাও?’ (সুখসারি)
‘এখন ফাল্গুন মাস। ফাল্গুনের দোষেই ঝরে পড়ছে সহস্র নিমফুল।’ (মনবৃক্ষ)
‘আজ রাতে নিমফুলের সমস্ত মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ছিল অনাকাক্সিক্ষত ভালোবাসার প্রস্তাব।’
... ‘তাহলে নিমফুলের একটা ইনডিসেন্ট প্রস্তাব তুমি গ্রহণ করো।’ (নিঃশ্বাসের মতন অবিশ্বাসী)
‘তবু তোমার অনুমতি ভিক্ষে চাইছে নিমফুল।’ (আর একটা টেলিফোন)
‘নির্ঘুম রাতের ঝঞ্ঝাট ঝামেলা নিমফুল তেতো, অবিশ্বাসী স্মৃতি-গন্ডগোল থেমে যেত।’ (ঘুম)